আমার কিছু কৌতুক

আমার সবকয়টা কৌতুক একসাথে একটি ব্লগে দিয়ে দিলাম। এরমধ্যে নতুন কোন কৌতুক নাই। যারা আমার ব্লগ নিয়মিত পড়েন, তাদের পড়ার দরকার নাই। অন্যরা পড়ে দেখতে পারেন।
( বিঃদ্রঃ বেশীর ভাগই ১৮+)

০১.
ইংরেজ শাসন আমলের রাজস্থানের মরুভুমিতে একটা দুর্গ। সেইখানে সেনাপতি হয়ে এসেছে জাত্যাভিমানী এক ইংরেজ যুবক। এসেই শুরু করছে হম্বি-তম্বি। এরে ধমকায় ত ওরে মারে। কোনো কিছু তার পছন্দ হয় না। ইন্ডিয়ানদের রুচি নাই। চোর-বাটপার সব কয়টা। প্রথম দিনেই দুর্গ পরিদর্শনের সময় সেনাপতি দেখে একটা উট বাধা। " ওই হারামজাদা। উট এইটা কিসের জন্য? " একজন কাচুমাচুভাবে বলল " আমরা তিন-চার মাস একটানা দুর্গে থাকি। এইখানে কোনো মেয়ে নাই। সৈনিকরা মাঝে মাঝে খুব একা বোধ করলে এই উট ব্যাবহার করে। " সেনাপতি ত bloody indian দের কথা শুনে থ। শুয়োরের বাচ্চারা উটকে "কামে" লাগায়...ছি ছি ছি। সে কড়া নির্দেশ দিলো যে এরপর কোনো নেটিভ হারামজাদা উট ব্যাবহার করলে তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হবে। যাই হোক তার কড়া শাসনে দুর্গে নিয়ম-শৃংখলা ফিরে আসলো। সবাই সোজা। সব কিছু ঠিকমত চলছে। মাসের পর মাস যাচ্ছে।
এক সময় সেনাপতির একা একা লাগা শুরু করল। শালার একটা মাইয়া দেখি নাই গত চার মাস। আরো এক মাস গেলো। একদিন সকালে সে হুকুম দিলো, শুয়োরের বাচ্চারা, উটটা নিয়ে আয় আমার তাবুতে। কিছুক্ষন ধস্তা-ধস্তি হল। উটের চিৎকার শুনা গেল। এরপর সেনাপতি প্যান্টের চেইন লাগাতে লাগাতে বের হয়ে আসল। বড় বড় চোখ করে bloody indian গুলো তাকিয়ে আছে। এদের দিকে তাকিয়ে সেনাপতি বলল
- খারাপ না, তোরাও কি এইভাবেই ব্যাবহার করিস?
- না হুজুর। আমরা এইটাতে চড়ে মাইলদুয়েক দুরের একটা শহরে যাই।



০২.
বিদেশের এক রেস্টুরেন্ট। তিনজন বাবুর্চি সেখানে কাজ করে। একজন চাইনিজ, একজন জাপানিজ আরেকজন বাংলাদেশী। তিনজনের ভিতর খুব রেষারেষি। একদিন একটা মাছি ঢুকছে কিচেনে। সাথে সাথে চাইনিজটা একটা ছুরি নিয়া এগিয়ে গেলো। কিছুক্ষন সাইসাই করে চালালো বাতাসে। মাছিটা পরে গেলো চার টুকরা হয়ে। সে বাকি দুইজনের দিকে তাকিয়ে বলল, " এইভাবে আমরা আমাদের শত্রুদের চার টুকরা করে ফেলি।"

আরেকদিন মাছি ঢুকতেই জাপানিজটা এগিয়ে গেলো। সাইসাই করে ছুরি চালালো। মাছি আট টুকরা হয়ে গেলো। সে বাকি দুইজনের দিকে তাকিয়ে বলল, " এইভাবেই আমারা আমাদের শত্রুদের আট টুকরা করে ফেলি"

পরেরদিন মাছি ঢুকছে একটা। বাংলাদেশীটা এগিয়ে গেলো। বেচারা অনেকক্ষন ছুরি চালালো। হাপিয়ে গিয়ে এক সময় চলে এলো। বাকি দুইজন বলল
- কি তোমরা তোমাদের শত্রুদের কিছুই করো না?
-হুমমমম...তোরা বুঝোস না কিছুই।এমন কাম করছি যে অই মাছি আর কোনোদিন বাপ হইতে পারবো না।


০৩.
তিনবন্ধু গেছে মরুভূমিতে ঘুরতে। সেইখান ঘুরতে ঘুরতে দেখে একজন লোক মরমর। তাকে বাচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে নাই। লোকটা তাদের হাতে মারা গেল। তবে মারা যাবার আগেই তাদের বলল, তোমরা আমাকে বাচানোর অনেক চেষ্টা করছ। তোমাদের উপর খুশী হয়ে আমি খোদার কাছে প্রার্থনা করলাম। হে খোদা তুমি এদের
একটা করে ইচ্ছা পুরন করো। তারপর তাদের বলল তোমরা কোনো একটা উচু জায়গায় উঠবা।এরপর চোখ বন্ধ করে দিবা লাফ। লাফ দেয়ার সময় চিৎকার করে বলবা তোমরা কি চাও। খোদা তোমাদের সেটা দিবে।

কয়েকদিন পর তিনজন গেছে সুইমিং পুলে। উচু বোর্ডে উঠছে লাফ দিবে। একজনের মনে পড়ল দোয়ার কথা। লাফ দেবার সময় সে চিৎকার করে বলল- টাকা। সাথে সাথে সে শুন্যে মিলিয়ে গেলো আর গিয়ে পড়ল টাকা ভর্তি একটা সুইমিং পুলে। দ্বিতীয়জন লাফ দেবার সময় চিৎকার করে বলল-সেক্স। সে গিয়ে পড়ল সুইমিং পুল ভর্তি মেয়ের মাঝে। তৃতীয় জন বোর্ডে উঠে ভাবছে কি চাইবে কি চাইবে। সে দৌড় দিল।লাফ দেয়ার আগ মুহুর্তে তার প্যান্ট রেলিং এ আটকিয়ে গেছে।

আর সে চিৎকার করে বলে উঠল- oh shit

০৪.

এক স্পার্ম ব্যাংকে হঠাৎ করে এক মুখোশ পড়া ডাকাত ঢুকে পড়ল। হাতে একটা বন্দুক নিয়ে শুরু করছে চিৎকার । এর মধ্যে একজন ডাক্তার তাকে বুঝাতে চেষ্টা করল। তুমি যা ভাবছ এটা সেই ব্যাংক না। এটা শুনে মুখোশধারী আরো খেপে গেল।হাতের বন্দুক উচিয়ে বলল। খানকির পুত আমারে ব্যাংক চিনাস তুই? শুইয়া থাক ফ্লোরে।সব কয়টা শুয়ে পড়। একটা কথা কবি না কেউ।
একটু এগিয়ে গিয়ে মাটিতে শুয়ে থাকা এক নার্সকে চুল ধরে টেনে তুলল সে। তুই খোল ভল্ট। নার্স আর কি করবে। চকচকে স্টীলের দরজাওয়ালা একটা ফ্রীজ খুলল। ভিতরে থরে থরে সাজানো অনেক টেস্টটিউব। অইগুলার ভিতরে রাখা
sperm specimen। বদমাইশটা জিনিস দেখে যেন আরো খেপে গেল। একটা শিশি বের করে দেখল। এরপর হঠাৎ নার্সটিকে বলল, তুই খা এইটা। নার্স ঘাড় নেড়ে মানা করল প্রথমে।
-খা বলছি। খা!
কি আর করা। নার্সটা অস্ত্রের মুখে বেশীক্ষন বাধা দিতে পারল না। ইতস্তত করতে করতে খেয়ে ফেলল।খাওয়া শেষ হতেই মুখোশধারী বলল- বল কেমন লাগে? বল!নার্স বন্দুকের দিকে তাকালো, বলল ভালো। সাথে সাথে বদমাশটা মুখোশ খুলে ফেলল।
বলল; বউ , বলছিলাম না যে স্বাদ ভালো...

০৫.
এক লোক অতি বিকট শব্দে বায়ু ত্যাগ করে। তার যেমন বিকট আওয়াজ তেমনি উৎকট গন্ধ।তার বউ বিরক্ত।
-তুমি কি এটা ইচ্ছা করেই করো নাকি?
-ইচ্ছা করে আবার করা যায়?
-কি জানি। তবে তোমার জ্বালায় ত আর থাকতে পারছি না। দেখো কমাতে পারো কিনা।

এত কথা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। পরদিন সকালেই আবার বিকট শব্দে কাজ শুরু করেছে। বউ বিরক্ত হয়ে বলল
-তুমি যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছো তাতে কদিন কিন্তু পাদ দিতে গিয়ে নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে যাবে।
-তুমি কি সব কথা বলো। নাড়ি-ভুড়ি বের হবে কেনো?
-বের হবে ...একশবার হবে...তুমি জোর করে এমন বিকট আওয়াজ করো।

একদিন সকালে সে অভ্যাসগত ভাবেই বিকট শব্দে ত্যাগ করছে। তার বউ আর শুয়ে থাকতে পারল না। উঠে যেতে যেতে বউয়ের মাথায় এসেছে এক বুদ্ধি। নীচে নেমে ফ্রিজ থেকে মুরগি বের করল। এরপর মুরগির নাড়ি-ভুড়ি নিয়ে এসে স্বামীর পাজামার ভিতর দিয়েছে ঢুকিয়ে। চুপ করে নেমে এলো। রান্না করতে করতে দুই কান খাড়া করে রাখছে সে। কখন তার স্বামী চিৎকার করে ঊঠবে।

কিছুক্ষন পর যথারীতি এক চিৎকার। বউয়ের মুখটা আনন্দে ভরে গেছে। এইবার হইছে উচিত শিক্ষা।

আধা ঘন্টা পর নেমে এসেছে জামাই। এসেই বলে
-ও বউ ,তুমি ঠিকই বলেছিলে। এতো জোরে পাদ দেয়া ঠিক না । আজকে সকালেই পাদ দিয়ে ত নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে গিয়েছিল আমার।
-তাই নাকি?
-তবে বলছি কি আর। তবে খোদার রহমতে, একটু চেষ্টা করে সমস্তটা আবার ভিতরে ভরে ফেলতে পারছি।

০৬.
এক দম্পতি এসেছে ডাক্তারের কাছে। স্বামীটা বেশ বয়স্ক কিন্তু স্ত্রী তরুনী। তাদের সমস্যা হলো বাচ্চা হচ্ছে না। ডাক্তার স্ত্রীর কিছু পরীক্ষা করলেন। স্বামীটিকে বললেন আপনার স্পার্ম টেস্ট করতে হবে। তাকে একটা specimen cup দেয়া হলো। বলা হলো কাপটাতে স্পার্ম(বীর্য) নিয়ে আসবেন।
পরদিন লোকটা খালি কাপ নিয়ে এসেছে।
ডাক্তার বলল, কাপ খালি কেনো?
-বাসায় গিয়ে বাম হাতে অনেক চেষ্টা করলাম। পারলাম না। পরে মনে হলো ডান হাতে চেষ্টা করি। সেই হাতেও হলো না।
-এটা হতে পারে...আপনার বয়স ত আর কম হয় নাই। তা সাহায্য করার জন্য বউকে ডাকতে পারতেন।
-বউকে ডাকছি ত। সে হাত দিয়ে চেষ্টা করল ...হলো না...মুখ দিয়ে চেষ্টা করল ...হলো না...
- হয়। মাঝে মাঝে এমন হয়। তা অন্য কাউকে ডাকতে পারতেন।
-ডাকছি ত। বউয়ের বান্ধবীকে ডাকছি।
-বউয়ের বান্ধবী????
-সেও চেষ্টা করে পারল না।
-পারল না?? ডাক্তারের ভ্রু কুচকে গেছে।
-এরপর বউয়ের বন্ধু এলো। সেও চেষ্টা করল... পারল না।
ডাক্তার অবাক- বলেন কি? আপনার বউয়ের দোস্ত??একটা ছেলে??
-তবে আর বলছি কি?যাক, সারা রাতে পারলাম না। সকালে হাসপাতালে এলাম। হাসপাতালে এসে নার্সকে বললাম সাহায্য করতে।
- আমার নার্সকে?
-হ্যা। সেও চেষ্টা করল। পারে নাই।
-আপনি ত দেখি সবাইকে দিয়ে চেষ্টা করছেন।
-তা করছি। তবে আপনি বাকি আছেন।
-আআআআমি??? ডাক্তার তোতলাচ্ছে...
-হ্যা। দেখেন ত চেষ্টা করে কাপটার ঢাকনাটা খুলতে পারেন কিনা?


০৭.

ক্লাস ফোরের দুইটা ছেলে কথা বলছে
-দোস্ত ,গতকাল থেকে আমার খুব মন খারাপ।
-কেনো?
-মলি ছয়মাস আগে আমাকে গন্ডার বলেছিল। আমার চামড়া নাকি গন্ডারের।
-ছয়মাস আগে গন্ডার বলেছে আর তোর গতকাল থেকে মন খারাপ?
-হু......... গতকালই যে চিড়িয়াখানায় প্রথম গন্ডার দেখলাম।

০৮.
কুস্তি প্রতিযোগিতা চলছে। প্রথম রাউন্ড থেকেই দশাসই এক আমেরিকান সবাইকে হারাচ্ছে। কেউ তার সাথে লড়ে উঠতে পারছে না। এক্সময় সবাইকে হারাতে হারাতে সে পৌছে গেলো ফাইনালে। সেইখানে বাংলাদেশী মদন গেছে লড়তে।মদনও ফাইনালে উঠছে। ফাইনাল শুরুর আগে বাংলাদেশের কোচ বলল
"বাবা মদন!ফাইনালে উঠছোস তাতেই আমরা খুশী। আমেরিকানটার সাথে ত পারবি না। হারামজাদার " মাইনকা চিপা" থেকে দূরে থাইক্যা ফাইট করিস"
মদন রিংয়ে ঢুকছে। কিছুক্ষন দূরে দূরে থাকছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে নাই। আমেরিকানটার হাতে খাইছে ধরা। আমেরিকানটা মাইনকা চিপা দিয়ে ধরছে। বাংলাদেশের কোচ কয় আরে মদন কি কইলাম তোরে...দুরে দূরে থাক। এইটা বলে বেচারা মাথা নিচু করে ফেলছে। হার এখন সময়ের ব্যাপার। একটু পরেই বিকট এক চিৎকার। কোচ অবাক হয়ে মাথা তুললো। কি হইছে?

হইছে জবর কান্ড। মদন দেখি আমেরিকানটারে চাইপ্পা ধরছে। আমেরিকানটা একটু ধাপাধাপি কইরা হার মানলো।

পুরষ্কার নেয়া শেষে কোচ মদনরে জিগাইলো, রিং এ কি হইছিলো রে? জিতলি কেমনেরে বাপ?
মদন কয়- ওস্তাদ। আপনের কথা শুইন্যা ত দূরে দূরে থাকতে চাইছিলাম। কিন্তু ক্যামনে জানি মাইনকার চিপায় পইড়া গেলাম। চিপার চোটে মনে হইতেছিলো দম বন্ধ হইয়া যাইব...জ্ঞান হারানোর ঠিক আগে আগে দেখি মুখের সামনে দুইটা বিচি ঝুলতাছে...আমি ভাবলাম হাইরা ত যাইতাছি...দেই শালার বিচি কামরাইয়া। গলাটা বাড়াইয়া দিলাম একটা কামড়। আর আপনে বিশ্বাস করতে পারবেন না, নিজের বিচিতে নিজের কামড় পড়লে কি দানবের মত এনার্জি পাওয়া যায়।


০৯.
এক শহরে পরকীয়ার খুব চল। কমবেশী সবাই করছে। এরাই আবার চার্চে গিয়ে ফাদারের কাছে কনফেশন করে তারা কি করেছে। বৃদ্ধ ফাদার এইসব শুনতে শুনতে ক্লান্ত। এক রবিবারে তিনি সবাইকে বললেন আর কেউ যদি আমার কাছে পরকীয়ার কথা স্বীকার করে তবে এই শহর আমি ছাড়ছি। শহরের লোকজন আবার ফাদারকে খুবই পছন্দ করে। এরা ভাবল পরকীয়ার নতুন কোন শব্দ বা কোড ব্যবহার করতে হবে। শহরবাসী এরপর থেকে পরকীয়ার জন্য ব্যবহার করতে লাগল "আছাড়"।

" ফাদার! আমি আছাড় খাইছি এই সপ্তাহে......"

নতুন পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে। একদিন বৃদ্ধ ফাদার মারা যান। তার জায়গায় নতুন আর অল্পবয়স্ক একজন ফাদার আসে। সে ত আছাড় খাওয়ার কথা শুনতে শুনতে অবাক। সে গেলো শহরের মেয়রের কাছে।
" মেয়র! আমাদের শহরের রাস্তাগুলো ঠিক করা দরকার। লোকজন প্রচুর আছাড় খাচ্ছে"
মেয়র বুঝলেন বেচারাকে কেউ আছাড়ের মানে বুঝিয়ে দেয় নাই। আর বেকুব ফাদারটা চলে এসেছে সরাসরি তার কাছে। তার হাসি চলে আসল।
ঠিক এমন সময় ফাদার বললেন, "আমি বুঝি না কেনো আপনি হাসছেন??? আপনার বউই ত এই সপ্তাহে তিনবার আছাড় খাইছে"


১০.
সিন্ডেরেলার কথা বলছি। তার বয়স হয়েছে অনেক। তার স্বামী মারা গেছে। সে এখন রাজবাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। তার জীবনের শেষ দিনগুলো গ্রামের সহজ-সরল পরিবেশে কাটচ্ছে। হাস-মুরগী, গরু ছাগল এইসব পালছে। তার জীবন শান্ত আর নিরুদ্রব। একদিন হঠাৎ করেই তার পরী মা এসে উপস্থিত। পরী মার বয়স বাড়ে নি একটুও। কিন্তু সিন্ডেরেলা হয়ে গেছে বুড়ি। পরী মার সিন্ডেরেলাকে দেখে খুব মায়া লাগল।
বলল " আহা! আমার সবচে ভালো মেয়েটা বয়সের ভারে ক্লান্ত!"
সিন্ডেরেলার বয়স হতে পারে। কিন্তু তার ব্যাবহার ঠিকই আগের মত আছে। সে পরী মাকে আদর আপ্যায়ন করে বসালো। খুব উজ্জ্বল একটা পাথর দিল উপহার। প্রচুর আদর যত্নে পরী মার মন গলে গেলো।
সে দিল সিন্ডেরেলাকে একটা আঙ্গটি। এই আংটি ঘষে সে তিনটা ইচ্ছা পুরন করতে পারবে। পরী মা চলে যেতে সিন্ডেরেলা ভাবতে বসল কি চাওয়া যেতে পারে। আংটি ঘষে প্রথম ইচ্ছা প্রকাশ করল "আমি আবার চব্বিশের যুবতী হতে চাই" সাথে সাথে তার কুচকানো চামড়া মসৃন হয়ে গেল। তার হারানো যৌবন পুরোটাই ফিরে এলো। সে উচ্ছল হয়ে উঠল। হাততালিও দিলো একটা খুশীতে। তখনই মনে পরল তার স্বামীর কথা। সে ত আর বেচে নাই।
ঠিক আছে। আমি নতুন কাউকে পছন্দ করব। এরপর তার মনে হলো নতুন কেউ ত তার নাতির বয়েসী হবে। এমন সময় একটা ছাগল ডেকে উঠল। ছাগলের দিকে চোখ পড়তে তার মনে হলো এটাকে যুবক বানিয়ে নেই। তাহলেই ত বয়েসের ঝামেলা থাকবে না, কোন নাতির দোস্তকে বিয়ে করতে হবে না । সিন্ডেরেলা আংটি ঘষে বলে উঠল "এটাকে যুবক করে দাও।" সাথে সাথেই ছাগল্টা খুব সুন্দর ঝলমলে পোষাক পড়া যুবক হয়ে গেলো। তার দিব্যকান্তি। গ্রীক দেবতার মত পেটানো শরীর। যুবকটা সিন্ডেরেলার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসল। সিন্ডেরেলার সাথে সাথে বুকের ভিতরটা কেমন করে উঠল। এইরকম বুক মোচড় দিয়ে ওঠা তার কত বচ্ছর আগে যে হয়েছিল!!

সিন্ডেরেলা সাথে সাথে আংটি বের করল আবার।
বলল " এই যুবককে রাজা করে দাও আর আমাকে রানী। আমাদের জন্য খুব জমকালো প্রাসাদ, অনুগত সৈন্য বাহিনী আর প্রছুর ধনসম্পদের ব্যাবস্থা হোক।" সাথে সাথেই ক্ষুদ্র কুটির বিশাল প্রাসাদ হয়ে গেলো। সিন্ডেরেলা আর যুবকটা খুব সুন্দর করে সাজানো একটা রুমে উপস্থিত। যুবকটা এগিয়ে এসে সিন্ডেরেলার হাতে একটা চুমু দিল। সিন্ডেরেলার সমস্ত রক্ত নেচে উঠেছে। সে যুবকটির ঘনিষ্ঠ হয়ে বসল। যুবকটি এবার অত্যন্ত সুরেলা গলায় বলল,
-তুমি সুখী?
সিন্ডেরেলা হেসে বলল -"আমি খুব সুখী। দেবতার মত সুন্দর তুমি, আমার স্বামী। আমার চেয়ে সুখী আর কেউ না" -আচ্ছা তোমার কি মনে আছে তুমি আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছিলে একবার?
-না ত । আমার মনে নাই।
-স্বাভাবিক। তবে আমার মনে আছে। সেদিন আমি ভাবছিলাম একদিন তুমি খুব আফসোস করবে আমাকে দেয়া কষ্টের জন্য।
- কষ্ট ত জীবনের অংশ। আমি ভাবি না সেটা নিয়ে। এখন আমি সুখী। সে ঝুকে পড়ে যুবকটাকে একটা চুমু দিল। তার একটা বিশেষ ইচ্ছে জেগে উঠছে। এতদিন পর জেগে উঠা ইচ্ছেটাকে সে উপভোগ করছে। সে আস্তে করে বলল তবে তোমাকে না জেনে কষ্ট দেয়ার জন্য আমি দুঃখিত।
-হুমমমম...আমাকে খাসী করার জন্য এখন তোমার আসলেই দুঃখ করা উচিত।



১১.
-ফাদার আমাকে মাফ করুন।
-মাই সান। বলো তুমি কি পাপ করেছো!
-ফাদার আমার বয়স সত্তুর। বাজারে ভায়াগ্রা এসেছে নতুন। আমি সেটা কিনেছি।
-মাই সান। ভায়াগ্রা পাপের বড়ি।
-সেটা ত বটেই। তবে আমি ভায়াগ্রা খেয়ে আমার নাতির বয়েসী দুই মেয়ের সাথে সেক্স করেছি। অই মেয়ে দুইটা satisfied হয়েছে।
-ঘোর পাপ। তা তুমি এর আগে কবে শেষ কনফেসন করেছো?
-কোনোদিন করি নাই ফাদার।এটা আমার প্রথম।
-কেনো?
-ফাদার আমি খ্রীস্টান নই। আমি মুসলমান।
-যদি তুমি মুসলমানই হয়ে থাক , তাহলে আমাকে বলার কি মানে?
-নাতির বয়েসী দুইজনের সাথে সেক্স করতে পারছি...এটা আমি শহরের সবাইকেই বলে বেড়াচ্ছি।

১২.
এক বাংলাদেশী, এক ভারতীয় আর একজন পাকিস্তানী ঘুরতে বের হয়েছে আমাজনে। যেহেতু এটা একটা কৌতুক তাই আপনি এতক্ষনে বুঝে ফেলেছেন এরা ধরা পড়েছে জংলীদের হাতে। জংলীরা তিনজনকে একটা কুড়েঘরে আটকিয়ে রেখেছে। খুব চমৎকার একটা ফল খেতে দিচ্ছে তাদের। এই ফল খেয়ে তাদের চামড়া খুব মসৃন হয়ে যাচ্ছে। যেন তাদের যৌবন ফিরে আসছে। এরা তিনজনেই খুশী। এই সুখ অবশ্য বেশীদিন সইল না। একদিন সকালে জংলী সর্দার এল। এসে প্রথম ধরেছে পাকি-টাকে।
-তুমি কিভাবে মরতে চাও?
পাকিটা বলল তোমারা যে ফলটা খেতে দাও,সেই রকম মিষ্টি কোন ফল নিয়ে আস যেটা বিষাক্ত। ওটা খেয়েই আমি মরব।
তার ইচ্ছা অনুযায়ী লাল একটা ফল নিয়ে আসা হল। পাকিটা "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" বলে ফলটা খেয়ে ফেলল। তার এসে গেলো গভীর ঘুম যা আর ভাঙ্গে না। বাংগালী আর ভারতীয় দুইজন এরপর দেখল ভয়াবহ ব্যাপারগুলা।

জংলীরা পাকিটার মাথা আলাদা করে সেটাকে মমি করে রাখল । বাকি শরীরের চামড়া ছাড়াল। এরপর সেটা দিয়ে বানাল ছোট একটা ক্যানু(canoe)। এইসব দেখে ভারতীয় আর বাঙ্গালীর অবস্থা খারাপ। পনের দিন পর জংলী সর্দার আবার এল। এইবার ভারতীয়টার পালা। ভারতীয়টাও "জয় হিন্দ" বলে ফল খেয়ে মারা গেল। তার মাথার মমি করা হল, চামড়াটা দিয়ে বানানো হলো ক্যানু। কিছুদিন পরে বাঙ্গালীর পালা।

তাকে জিজ্ঞেস করা হলো কিভাবে মরবে? সে চাইলো একটা কাটা চামচ। এরপর কাটা চামচটা দিয়ে নিজের শরীরের নানা জায়গায় আঘাত করতে করতে বলল,"খানকির পুত! পারলে এইবার নৌকা বানা"