আবার কাটাকাটি- ব্রেক আপ- কপাল ভালো বাংলায় জন্মাইছি

আবার ঝামেলা হল। কাটাকাটি হয়ে গেল। যারা আমাকে চিনে তারা আর আগ্রহ দেখাবে না, শুনতেও চাইবে না কেন ঝামেলা হল।
এইবার ...প্রথমবার বলতে গেলে আমি ব্রেক-আপের সময় গালিগালাজের সম্মুখীন হলাম। কতজনই ত এলো গেলো। সবসময় আমার উদ্দেশ্য মেয়েদের শেষ কথা থাকে "তুমি ডাক্তার দেখাও।" ইসের ডাক্তার না। :P মনের ডাক্তার। এই কথাটা বলার সময় মেয়েটার চোখে থাকে গভীর সমবেদনা। রাস্তার পাশের একটা কুকুর যখন কোন একটা গাড়ির নিচে পড়ে তার দুই বা এক পা হারিয়ে ফেলে তখন এই রকম বেদনা দেখা যায় পথচারীদের মুখে। তোমার জন্য আমি বেদনা অনুভব করছি। কিন্তু তোমাকে ত নিজের করা সম্ভব না। এই পথচারীরা খুজে চারপা ভালো এই রকম একটা কুকুর।

এইবার ব্রেক-আপের সময় আশা করে আছি বলবে তুমি ডাক্তার দেখাও, তা না তার বদলে বলে দিল তুমি নিষিদ্ধ পল্লীতে চলে যাও। সভ্য সমাজে তোমাকে আর মানাচ্ছে না।
নিজকে সান্ত্বনা দেই এই ভেবে ভেবে যে তার এত তেজ দেখানোর কারন সে সাইকোলজি কিছু বুঝে না। ভূগোল পড়তে পড়তে মাথা গেছে। তাছাড়া, ঢাকা ইউনিভার্সিটির মেয়েদের বিড়াল বেশ বড় থাকে। আমি তার বিড়াল মারতে পারি নাই।

কিন্তু কথা তা না, কথা হল গিয়ে বাংলায় জন্ম নিছি।

আমার মানসিক সমস্যা হল কোন কিছুই লম্বা সময় ধরে পছন্দ হয় না। আর কিছুতেই মাথা আউলায় না। যারা প্রেম করেন তারা স্বীকার করবেন মাথা কিছুটা না আউলালে প্রেম করা যায় না। কোন একজন নারীর ভালোবাসা পাওয়া বা না পাওয়ার চেয়ে মানব জীবন অনেক বড়। আমার মাথায় পাথর আছে কিনা জানি না, কিন্তু এই কথাটা ত আমার মাথার ভিতর খোদাই করা আছে।
পাঠকের কি ধারনা হচ্ছে আমি ভ্রমর টাইপ? আমি বিনয়ের সাথেই বলি আমি তা না। আমি শুধু একবারই কোন একটা মেয়ের জন্য এগিয়ে গিয়েছিলাম। আর খোদা সাক্ষী সেই মেয়ে যদি রাজি হত, কিছুদেনের ভিতর আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতাম। :P

কিন্তু কথা তা না, কথা হল গিয়ে বাংলায় জন্ম নিছি।

বাংলায় জন্ম নেয়ার সুবিধা হল এই মানসিক সমস্যা থাকার পরও আমি বিয়ে করতে পারব। আমার বঊ আমার সাথে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করবে। যেহেতু আমি পুরুষ তাই ভয়ের কিছু নাই। এই বাংলায় আমাকে বিয়ে করার মেয়ে পাওয়া যাবে।

আমি বাংলায় জন্ম নিছি। আমি বেচে গেছি। কিন্তু যে মেয়েরা বাংলায় জন্ম নিল... তাদের জন্য আমার সহমর্মিতা। আহারে!

No comments: