কৌতুক ( বাংলার হুজুর;))

বিভিন্ন ধর্মের লোকজনদের নিয়ে সভা হচ্ছে।
প্রথমেই বুদ্ধ সন্ন্যাসী ষ্টেজে ঊঠলেন। বুদ্ধের প্রশংসা করে বক্তৃতা দিলেন। তার বলা শেষ হলেই বাঙ্গালাদেশি এক হুজুর দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা! আশ্রমের জন্য আপনারা যে টাকা পান, সেটা হতে নিজেদের পিছে কত খরচ করেন? সন্ন্যাসী খুব লজ্জার সাথে উত্তর দিলেন, যদিও আমরা সন্ন্যাসী, তারপরও বেচে থাকার জন্য আমরা কিছু অর্থ খরচ করি। আশ্রমে দান থেকে যা আয় হয় তার দশ পারসেন্ট নিজেদের পিছে খরচ করি।
হুজুর ধমক দিয়ে উঠলেন , ধিক!!! খোদার লানত পড়ুক আপনাদের উপর। খোদার টাকা থেকে আপনার নিজেদের জন্য সরিয়ে রাখেন!!!

বেচারা সন্ন্যাসী কিছু বলতে পারলেন না। লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে পড়লেন।
এরপর গেলেন হিন্দু মন্দিরের পুরোহিত। তিনি ধর্মের ব্যাখ্যা শেষ করতেই হুজুরের প্রশ, মন্দিরে যে মানুষেরা টাকা দেয়, তার কতটুকু আপনারা নিজেদের কাজে লাগান শুনি?
পুরোহিতও খুব লজ্জায় পড়ছেন। মন্দিরের সব কাজ ত আমরা দানের টাকায় করি, আর পচিশ পারসেন্টের মত খরচ হয়ে যায় নিজেদের পিছে।
আবার হুজুরের চিৎকার, ধিক!!! লানত পড়ব খোদার!! লজ্জা করে না ভগবানে টাকা নিজের পকেটে নিতে??

এরপর উঠছে পাদ্রী। সে বার বার হুজুরের দিকে চোরা চোখে চায়, ভয়ে ভয়ে কথা শেষ করল। হজুর যথারীতি বক্তৃতা শেষেই প্রশ্ন করল, বলেন আপনারা কত খরচ করেন নিজের পিছে?
ডোনেশনে যা পাই, তার পঞ্চাশ ভাগের মত নিজেদের পিছে খরচ হয়ে যায়।

হুজুরের আবার ধমক, ধিক!!

এরপর হুজুরের পালা। সন্ন্যাসী, পুরোহিত আর পাদ্রী পুরা ক্ষেপে আছে। হুজুরের কথা শেষ হতে না হতেই তাদের প্রশ, এইবার বলেন আপনার কত খরচ করেন নিজেদের পিছে?
আপনি কি ভাবছেন আমরা আপনাদের মত??? খোদার টাকায় খোদার হক সবার আগে। তাই আমরা খুব ভালো একটা সিস্টেম ব্যবহার করি। বছরে যা টাকা উঠে তা একটা চাদরে বাধি। এরপর সেটা আকাশের দিকে ছুড়ে মারি। খোদার যা দরকার তিনি সেটা থেকে নিয়ে নেন। চাদর মাটিতে পড়লে সেটা খুলে আমাদের যা দরকার আমরা নিয়ে নেই।

1 comment:

js mahedi said...

hmmm thank’s to admin We hope this site will opahara Bengalis some new inputs that kamona

my web site; http://www.FajilBD.com
http://www.NRhost.Net